দৌড়……….
- বাঁশীওয়ালা
জীবন একটা ম্যারাথন রেসের চেয়েও বেশী
মরে গেলেও শ্মশান-কবর-ভোগ-মিলাদের হ্যাপা!
আমার নাবালক ছেলেবেলার পাশবিকতা
স্বত্তায় মেখে নেওয়ার জন্য ছিল হাস্যকর প্রয়াস
এই বেয়াল্লিশ’র শেষেও তাকেও জয় করা হয়নি।
জীবন পথের তেরটি বছর দৌড়ে ধরেছিলাম জোছনা।
চেয়েছিলাম চাঁদ,পেয়েছি তার আভা!
নাকে সোদা মাটির গন্ধ,হাতে পায়ে ধুলোর খেলা
নিয়মিত চাঁদের আভায় স্নান
ঝা ঝা রোদে অবিরাম অক্সিজেন খাওয়া।
সতেরো ক্রোশ এভাবেই দৌড়ে ধরে গেছে নেশা।
নারীর বাস্তব আর কল্পনা আমার জীবনপথে মিশে
হারালাম ক্ষণিক স্বাধীনতা,হারালাম পঁচিশ বছরের দিশে।
তখন আর কাব্য হলনা,শুরু হল পদ্যের সন্ধান।
অসীম আধারের স্তিমিত আলো যেমন
কীটপতঙ্গ টানে
সেভাবেই ছুটলাম মহামায়ার টানে।
এরপর জীবন আঠাশের গ্রহণ
সম্মুখ সমরে জীবিকা অন্বেষন।
স্বপ্ন বোনা আর জড়িয়ে যাওয়া পায়ে
বিমূর্ত বিলাপে বেঁচে থাকা গানে।
তিরিশ বছর আমাকে ছাড়িয়ে যায়
নাড়ির টানে আটকে থাকা শরীর মাটি হয়।
দু’দিন আঁখিজলে ভেসে যায় কপোল।
তারপর একচোট হেসে নেয় আমার অতীত
আর হাসতে থাকি আমি
হাসতে হাসতেই কখন যেন সবকিছু বদলায়!
আতুর ঘরের বিছানা ছেড়ে মায়ের কোল,
সেখান থেকেই বাড়ির উঠোন,চেনা পুকুরের পাড়
দৌড়ে স্কুল-কলেজ অফিস-আদালত আর বেশ্যাপাড়া।
বিয়াল্লিশের শেষ সিড়ি মাড়ানোর পর
কে যেন বলে একটু দাড়া।
অনেক দৌড়েছি তবুও ছায়া শরীরের সামনে
স্তব্ধ হয়ে থাক মানসিক প্রতিবন্ধীদের বিশাল প্রাঙ্গনে।
এখন স্মৃতিরা আচঁড় কাটে
আমি শুয়ে থাকি শয্যায়।
তবুও,আমার আমি দৌড়ে বেড়ায়!
- বাঁশীওয়ালা
জীবন একটা ম্যারাথন রেসের চেয়েও বেশী
মরে গেলেও শ্মশান-কবর-ভোগ-মিলাদের হ্যাপা!
আমার নাবালক ছেলেবেলার পাশবিকতা
স্বত্তায় মেখে নেওয়ার জন্য ছিল হাস্যকর প্রয়াস
এই বেয়াল্লিশ’র শেষেও তাকেও জয় করা হয়নি।
জীবন পথের তেরটি বছর দৌড়ে ধরেছিলাম জোছনা।
চেয়েছিলাম চাঁদ,পেয়েছি তার আভা!
নাকে সোদা মাটির গন্ধ,হাতে পায়ে ধুলোর খেলা
নিয়মিত চাঁদের আভায় স্নান
ঝা ঝা রোদে অবিরাম অক্সিজেন খাওয়া।
সতেরো ক্রোশ এভাবেই দৌড়ে ধরে গেছে নেশা।
নারীর বাস্তব আর কল্পনা আমার জীবনপথে মিশে
হারালাম ক্ষণিক স্বাধীনতা,হারালাম পঁচিশ বছরের দিশে।
তখন আর কাব্য হলনা,শুরু হল পদ্যের সন্ধান।
অসীম আধারের স্তিমিত আলো যেমন
কীটপতঙ্গ টানে
সেভাবেই ছুটলাম মহামায়ার টানে।
এরপর জীবন আঠাশের গ্রহণ
সম্মুখ সমরে জীবিকা অন্বেষন।
স্বপ্ন বোনা আর জড়িয়ে যাওয়া পায়ে
বিমূর্ত বিলাপে বেঁচে থাকা গানে।
তিরিশ বছর আমাকে ছাড়িয়ে যায়
নাড়ির টানে আটকে থাকা শরীর মাটি হয়।
দু’দিন আঁখিজলে ভেসে যায় কপোল।
তারপর একচোট হেসে নেয় আমার অতীত
আর হাসতে থাকি আমি
হাসতে হাসতেই কখন যেন সবকিছু বদলায়!
আতুর ঘরের বিছানা ছেড়ে মায়ের কোল,
সেখান থেকেই বাড়ির উঠোন,চেনা পুকুরের পাড়
দৌড়ে স্কুল-কলেজ অফিস-আদালত আর বেশ্যাপাড়া।
বিয়াল্লিশের শেষ সিড়ি মাড়ানোর পর
কে যেন বলে একটু দাড়া।
অনেক দৌড়েছি তবুও ছায়া শরীরের সামনে
স্তব্ধ হয়ে থাক মানসিক প্রতিবন্ধীদের বিশাল প্রাঙ্গনে।
এখন স্মৃতিরা আচঁড় কাটে
আমি শুয়ে থাকি শয্যায়।
তবুও,আমার আমি দৌড়ে বেড়ায়!
5 comments:
অ্যাডমিন ভাই ফাটাফাটি হইছে। এই রকম জটিল কবিতা আরো চাই!
ধন্যবাদ । আসলে কবিতাটি আমার লেখা না । এটা বাশীওয়ালা ভাই লিখেছেন এই ব্লগের পাঠকদের জন্য । :)
khub fatafati ai kobitar likhokh ky bai please arokom kobita aro lekhar chesta korben please.
দারুন.. লাইক লাইক লাইক .... :)
this is a nice poem.........carry on.you can get everything here
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন