সর্বশেষ পোষ্টগুলো

বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১১

ভবিষ্যতের হেডফোনের সাউন্ড হবে মাত্র ৮৫ ডেসিবল


পোষ্ট লিখেছেনঃ প্রথম প্রজন্মের রোবট

আপনারা কী জানেন,হেডফোনের ব্যবহার কতসালে শুরু হয়?
১৯৭৯ সালে সনি কোম্পানি যখন ওয়াকম্যান বাজারজাত করে তখন থেকে। কিন্তু বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে হেডফোনের ব্যবহার অধিক পরিমাণে বেড়ে যায় ।
মোবাইল ফোন, আইপড, এমপি-থ্রি, এমপি-ফোর, এমপি-ফাইভ, এমপি-সিক্স ও কম্পিউটারে হেডফোন ব্যবহৃত হচ্ছে বহুল পরিমানে । এতদিন আমরা ইচ্ছামতন সাউন্ড কন্ট্রোল করে হেডফোনে গান শুনতাম, কখনও অনেক বেশী সাউন্ড দিয়ে কখনও কম ।
আমাদের এই জোরে সাউন্ড দিয়ে গান শোনার দিন ফুরিয়ে যাবে কিছুদিন পরেই।

কেন???

বিংশ শতাব্দীর ডিজিটাল মিউজিক প্লেয়ারে সাউন্ড অনেক বেশী ,যা সৃষ্টি করে চলেছে শব্দ দূষণ। স্বাস্থ্যহানি আর শ্রবণশক্তি ক্ষয়ের একটি অন্যতম কারন হচ্ছে শব্দ দূষণ ।
বোস্টন চিলড্রেনস হসপিটালের ডায়াগনস্টিক অডিওলজির ডিরেক্টর পদে অধিষ্ঠিত আছেন ব্রায়ান ফ্লিগর । তিনি সম্প্রতি এক গবেষনা শেষে বলেছেন, একজন মানুষের প্রতি সপ্তাহে ৭ ঘন্টার বেশী গান শোনা উচিত নয় । নিউইয়র্কে একজন মানুষ প্রতি সপ্তাহে গড়ে ১৮ ঘন্টা করে গান শুনছে এবং ক্রমশ তাদের শ্রবনশক্তি হারাচ্ছে।

সম্প্রতি ইউরোপিয়ান কমিশনের সহায়তায় একটি গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে যে,একটি ডিজিটাল মিউজিক প্লেয়ার ৪৪ থেকে ১১৩ ডেসিবল পর্যন্ত শব্দ উৎপাদনে সক্ষম।ডেসিবল হচ্ছে শব্দের মাত্রা নিরুপনের একক।
যেখানে একটি বিমনাযান আকাশে উড্ডয়নের সময় তার শব্দ দূষনের মাত্রা থাকে ১২০ ডেসিবল । একজন মানুষ সাধারনত ৬০ ডেসিবল মাত্রা ব্যবহার করে অন্যের সাথে যোগাযোগ করে।

গরম খবরটি হচ্ছে, আমেরিকার ইন্ডিয়ানোপোলিস নামক প্রতিষ্ঠান নতুন প্রযুক্তির হেডফোন বাজারজাত করতে যাচ্ছে। যেটাতে ৮৫ ডেসিবলের বেশী সাউন্ড আপনি পাবেন না ।
 বর্তমান বিশ্বের প্রায় ১০ মিলিয়ন মানুষের শ্রবনশক্তি নষ্ট হয়ে যাওয়ার পথে । আর যে সকল কোম্পানি হেডফোন বাজারজাত করে থাকে,তারাও এই নতুন প্রযুক্তি নির্ভর হেডফোন বাজারে নিয়ে আসতে যাচ্ছে। তখন জোরে শোনেন বা আস্তে শুনতে চান, সাউন্ড ঐ ৮৫ ডেসিবল।

সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ্য থাকবেন।

1 comments:

shawon বলেছেন...

ami apnar shathe contact korte chai plz call

+8801672241455

amra ak shathe kaj korte chai

Shawon,,,,,,,,,,,,,

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন