সর্বশেষ পোষ্টগুলো

শনিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১৩

Windows 7 না Windows 8? কোনটি ব্যবহার করা উচিৎ

আসসালামু আলাইকুম।
আমরা সবাই নিশ্চয়ই জানি যে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ 8 রিলিজ করেছে। যারা নতুনের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে চান তারা নিশ্চয়ই পিসিতে সেটাপ দিয়ে ফেলেছেন। তবে সেটাপ দিয়ে অনেকে নিশ্চয়ই আমার মত বিপদে পড়েছেন। বিপদের কারণগুলো হচ্ছে অনেক সময় পিসি স্টার্ট করলে স্টার্ট স্ক্রিনের পরিবর্তে কালো মনিটরে শুধু মাউস কার্সর ছাড়া আর কিছূ আসে না তখন আবার রিস্টার্ট দিতে হয় আবার অনেকের কম্পিউটারে মেট্রো এপস্ রান হয় না। রান করতে চাইলে পিসি হ্যাং হয়ে যায় ইত্যাদি ইত্যাদি।
আমরা পিসিতে উইন্ডোজ ৮ সেটাপ দিব কি না সেই সিদ্ধান্ত নেবার আগে আসুন উইন্ডোজ 7 এবং 8 এর মধ্যে পা্র্থক্যগুলো জেনে নেই।
  • 1। উইন্ডোজ 7 এর চেয়ে 8 অত্যধিক ফাস্ট, শক্তিশালী, সুরক্ষিত এবং সহজ। কারণ উইন্ডোজ 8 এ রয়েছে শক্তিশালী বিল্ট ইন এন্টিভাইরাস এবং এতে উইন্ডোজ 7 এর মত ডেস্কটপ উইন্ডো ম্যানেজার ( ডেস্কটপ উইন্ডো ম্যানেজার Aero Gass Effect and Style নিয়ন্ত্রণ করে) এবং এজন্য অধিক সিপিইউ ও র‌্যামের প্রয়োজন হয় কিন্তু উইন্ডোজ 8 এ ডেস্কটপ উইন্ডো ম্যানেজার নেই তাই এটি ফাস্ট।
  • 2। উইন্ডোজ সেভেনে অত্যধিক স্টাইলের জন্য ছোট ছোট পিকচার (রিসোর্স ) ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়েছে কিন্তু উইন্ডোজ 8 এ রিসোর্স এর পরিবর্তে কালার ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন: ওয়েবসাইটে পিকচার এর পরিবর্তে সিএসএস স্টাইল ব্যবহার করা হয়। যারা ওয়েব ডিজাইন করেন তারা নিশ্চয়ই জানেন যে সিএসএস দিয়ে তৈরী করা পেজ পিকচারের চেয়ে অধিক দ্রুত লোড হয়।
  • 3। উইন্ডোজ 8 স্টার্ট হতে সময় নেয় না কিন্তু শাট ডাউন হতে অধিক সময় নেয়। কারণ: উইন্ডোজ 8 শাট ডাউন হবার সময় কাজগুলো সেভ করে রাখে যাতে স্টার্ট আপের সময় দ্রুত স্টাট করা যায়।
  • 4। উইন্ডোজ 7 এ পিসি শাট ডাউন দিলে রিস্টার্ট এর কাজ হয়ে যাবে কিন্তু উইন্ডোজ 8 এ হবে না। এজন্য রিস্টার্টই দিতে হবে এবং রিস্টার্ট দিলে উইন্ডোজ 7 মত 8 ও অধিক সময় নিয়ে স্টার্ট হবে।
  • 5। উইন্ডোজ 8 এর ম্যাট্রো এপস গুলো রান করতে হলে মিনিমাম 1024*768 পিক্সেল ডিসপ্লে থাকতে হবে তাই নেটবুকে উইন্ডোজ 8 চালাতে অসুবিধা হতে পারে।

করণীয়:

আপনি যদি উইন্ডোজ 8 সেটাপ দিতে চান তাহলে আপনার কম্পিউটারের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখুন তারা উইন্ডোজ 8 এর জন্য কোন HotFix এর ডাউনলোড লিংক দিয়েছে কি না, যদি দেয় তাহলে ডাউনলোড করে উইন্ডোজ 8 এ সেটাপ দিন।
অনেক কোম্পাণী তাদের পিসিগুলোর মডেল ওয়েবসাইটে উল্লেখ করেছে যেগুলোতে উইন্ডোজ 8 সেটাপ দেয়া যাবে। তাই সার্চ করে দেখুন আপনার সেখানে মডেলটির কথা উল্ল্যেখ আছে কি না। না থাকলে কোম্পাণীর সাপোর্ট সেন্টারে লাইভ চ্যাট করে দেখতে পারেন।
আপনার কম্পিউটারটি যদি নেটবুক হয় তাহলে 8 সেটাপ দেয়ার পর ম্যাট্রো এপস গুলো আনইন্সটল করে নিন। কারণ নেটবুকে (আমার জানামতে) ম্যাট্রা এপস রান করলে হ্যাং হয়ে যায়।
উইন্ডোজ এইট একটিভ করার জন্য অনেক ড্রপার আছে। কিন্তু আপনি ড্রপারগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে পিসির স্টার্টআপে সমস্যা হতে পারে তাই ড্রপারগুলো ব্যবহার করার আগে এখানে ক্লিক করে ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন।
ড্রপার প্রয়োগ করার আগে Important Updates ডাউনলোড ও ইন্সটল  করে নিলে ভালো হয়। পরে আপডেট দিলে একটিভেশন ডিএকটিভ  হয়ে যেতে পারে তাই আবার একটিভেটর রান করা লাগতে পারে।
অনেক এন্টিভাইরাস এক্টিভেটরগুলোকে ভাইরাস হিসাবে ধরতে পারে তাই একটিভ করার সময় এন্টিভাইরাস ডিজ্যাবল রাখুন। দুই নম্বরি কাজ করতে হলে ভাইরাস তো লাগবেই। তাই উদ্বিগ্ন হবার কোন কারণ নেই। তবে ভিডিওতে দেখানো একটিভেটর গুলো ছাড়া অন্য কোন অজানা একটিভেটর ব্যবহার করতে চাইলে অবশ্যই সতর্ক থাকবেন।
8 সেটাপ দেয়ার পর তাড়াতাড়ি একটি এন্টিভাইরাস সেটাপ দিবেন। কারণ, উইন্ডোজ 8 এর যে বিল্ট ইন এন্টিভাইরাস রয়েছে তা স্ক্যান করতে অনেক সময় নেয় তাই আপনার মনে হতে পারে উইন্ডোজ 8 সেভেনের চেয়েও খারাপ।
র‌্যাম চার গিগাবাইটের বেশি না হলে 32 বিটই ভালো।
আশা করি আর কোন সমস্যা হবেনা কারণ উইন্ডোজ 8 সেভেনের চেয়ে অনেক ভালো এবং ফাস্ট। তাই পারলে আজই উইন্ডোজ 8 ব্যবহার করা আরম্ভ করুন।
আজ এখানেই ! আল্লাহ হাফেজ !

1 comments:

নামহীন বলেছেন...

সুন্দর করে লিখেছেনআপনার প্রতেকটা টিউন খুব সুন্দর হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন